ওরা নিষিদ্ধ পল্লীর নিষিদ্ধ অধিবাসী
নিষিদ্ধ পল্লী
ওরা আঁধার পল্লীর নিষিদ্ধ অধিবাসী
উজ্জ্বল উচ্চ সমাজে ওরা পরিত্যাজ্য,
ওরা বেশ্যা, আমাদের চোখে ঘৃণার পাত্র
ওরা খোদার ভয়ঙ্কর নরকে নিক্ষিপ্ত!
তবে আমরা একবারও কি ভেবেছি?
ওরা আজ কার চাহিদায় বেশ্যা?
দিবায় যে জন ওদের নিন্দায় ব্যস্ত
নিশীথে সে জন ওদের মাঝে মত্ত।
ওরা হয়তো বিশ্বাসী প্রেমিকের হাত ধরে
অজান্তে পাড়ি দিয়েছে তথাকথিত পল্লীতে,
হয়তো খিদের যাতনায় দিশেহারা হয়ে
একটুকরো মাংসে সঙ্গমের বিনিময়ে-
টিকে আছে নিষিদ্ধ ঐ সংকির্ণ ঘৃহে।
হয়তো প্রতারক স্বামীর মিথ্যে আশ্বাসের ফাঁদে
সদ্যজাত শিশুর মুখে অন্ন দেয়ার তরে-
দেহের সবটুকু বিকিয়ে দিয়েছে খদ্দেরের হাতে।
জীবনের কাছে পরাজিত সেই সব নারী
সেচ্ছায় অন্ধকারে দেয়নি পাড়ি।
ওরা প্রত্যেকেই ট্রাজেডির শিকার,
এর জন্য দায়ী মানুষের একমুখী বিচার।
ওরা পুরুষের চাহিদায় হয় যদি আবদ্ধ
যদি হয় কামক্ষুধা নিবারণের বস্তু-
তবে সমাজে কেন ওরা নিষিদ্ধ?
ওরা যদি হয় বহুগামী পতিতা,
তবে সেই সব প্রতারকরা কি?
যারা সমাজের উচ্চ আসনে মুখোশধারী,
দিনে বিচারক,রাতে পতিতা পূজারি।
হে সুশীল! তাদের তোমরা কি বলবে?
বেশ্যার জন্য সব ফতুয়া,সব আইন
বেশ্যাই শুধু সমাজের পাপ,
বহুগামী, প্রতারক আর ভদ্র শ্রেণী-
পুংদন্ডী কাস্টমারের সাতখোর মাপ!
সমাজের দুই নীতি,দেখতে বড় লজ্জা হয়,
ওদের নিয়ে লেখেছি,তাই অনেকে বলবে-
এ আমার পুরুষতন্ত্রের অবক্ষয়।
বন্ধু,এ কি তোমার মনুষ্যত্বের পরিচয়?
লেখকঃ নাঈম আজিজ চৌধুরী
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

No comments