তারুণ্যের স্বপ্নের কারিগর মেয়র আনিসুল হক
আজ চলে গেলেন চিরতরে আমাদের নগর পিতা আনিসুল হক।মনে হচ্ছে যেন সারা দেশ তাঁর জন্য কাঁদছে। এমন একজন গুণীর জন্য কেনই বা কাঁদবেনা এই শহর।যিনি এই নগরীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নতুর পৃথিবীর।যার একটি বক্তব্য কোটি তরুণ স্বপ্ন দেখিছিল নতুন জীবনের।তিনি আশা জাগিয়েছিলেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার।কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য বড্ড অসময়ে চলে গেলেন তারুণ্যর স্বপ্নের কারিগর। নগর পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা রেখে আমাদের আজকের আয়োজন তাঁকে নিয়ে।
খুব সংক্ষেপে তার জীবনের কিছু অংশ
নামঃ আনিসুল হক।জন্মঃ ২৭ অক্টোবর, ১৯৫২ সাল। পিতাঃ সৈয়দ মঈনুদ্দিন হোসাইন। মাতাঃ ফাতেমা জোহরা বেগম। জন্মস্থানঃ নোয়াখালি জেলার কোম্পানীগঞ্জে।শৈশব কেটেছে তার নানাবাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে নানার বাড়িতে। তিনি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
দাম্পত্য সঙ্গী রুবানা হক । সন্তানঃ নাভিদুল হক (পুত্র)।তানিশা ফারিয়ামান (কন্যা)। ওয়ামিক উমাইরা (কন্যা)।আনিসুল হক আশির দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৬ সালে তাঁর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “মোহাম্মদী গ্রুপ” প্রতিষ্ঠা করেন।২০০৫- ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিজিএমই-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১০ - ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিআইপিপিএরও সভাপতি ছিলেন।
মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ বা সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩০ নভেম্বর ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে ৬৬ বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ।এই সৎ ও নিষ্ঠাবান সফল নেতার জন্য
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।তিনি থাকবেন প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে। ঢাকাবাসী তাঁর অবদান কখনো ভুলবেনা।ভালো থাকবেন প্রিয় নগর পিতা।আমরা তোমার দেখানো স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাব তোমার এই শহরে।

No comments