(কবি তাসমিয়া শান্তা (সুপ্তিকা) মার্চ ২০১৭ তে এক অজানা অভিমানে আত্মহত্যা করে।মেয়েটার ফেসবুক প্রোপাইলটা ঘুরে আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। মেয়েটাকে আমি চিনিনা তবুও যেন মনে হলো এ আমার খুব কাছের কেউ।শুনেছি মেয়েটার অন্ধকার খুব প্রিয়।তাই বলতে হয় ভালো থেকো সুপ্তিকা তোমার অন্ধকার শহরে)
প্রত্যাখ্যানলেখাঃতাসমিয়া শান্তা (সুপ্তিকা)
কী ভীষণ আকুলতা নিয়ে
একদিন বলেছিলে,
'ভালবাসতে দাও আমাকে'
সেদিন থেকেই,
আজন্ম নিঃসঙ্গতাকে নিষ্কৃতি দিয়ে
তোমার একান্ত বাধ্যগত প্রেমিকা হয়ে উঠলাম।
ভালবাসতে দিলাম।
তুমিও ভালবাসলে,
অক্লান্ত সুমুদ্র চিলের মতন
অদ্ভুত প্রয়াসে,
হস্তযুগলে প্রতিশ্রুতি রেখে,
নাকের ডগায় ঠোঁট ছুঁয়ে,
অথবা চুলের গন্ধে মাতাল হয়ে।
কখনোবা বাহুলগ্নে উষ্ণতা খুঁজে।
তোমার অদম্য ভালবাসায় মুগ্ধ হয়েছি কতবার।
অথচ তোমাকে ভালবাসার আগে
কী ভীষণ নির্লিপ্ত ছিলাম আমি!
তারপর,
খানিক মনমালিন্য আর অভিমান সমেত
সুগভীর এক স্বপ্নের ঘোরে
কেটে গেছে গোটা কয়েক বসন্ত।
ততদিনে আমার বুকের মধ্যে,
বিশাল এক ভালবাসার সুমুদ্র জন্মে গ্যাছে।
সে সুমুদ্রের আষ্টেপৃষ্ঠে যত্ন করে
তোমার নাম খোদাই করা।
সেই ভালবাসার সবটুকু দিয়ে ,
উন্মাদিনী'র মতন ভালবেসেছি।
আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি।
অথচ,
অকল্পনীয় বিশ্বাসে
উন্মাদিনী'র মত ভালবাসতে থাকা,
ভীষণ আক্রশে
আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাওয়া
অষ্টাদশী বালিকার বুক জুড়ে
এক অসীম আগ্নেয়গিরি জ্বেলে,
উত্তাপ থেকে বেঁচে পালাতে ছুটছো তুমি।
অস্তিত্বের শেষ চিহৃটুকু চাপা দিতে চাইছো
অবহেলার অন্তরালে!
এখন,
তোমার অবহেলার হিংস্র আঘাতে
রক্তাক্ত হই প্রতিরাতে!
আমার ক্লান্ত দেহ ঢেকে যায়,
বুকের ভেতর জ্বলতে থাকা
গনগনে অগ্নি'র উত্তাপে।
আমি শশ্মান ঘাটে
অবহেলায় পরে থাকা
বেশ্যার ভস্মের মতন
তোমার স্মৃতিপটে উড়তে থাকি।
(আমাদের এ আয়োজন সুপ্তিকার প্রতি উৎসর্গ করছি।ভালো লাগলে আপনারাও শেয়ার করতে পারেন।আবৃত্তি নয় কবিতাটাই ভালো লাগবে আমার বিশ্বাস।শত চেষ্টা করেও এ একটা কবিতা আমি ভালো করে আবৃত্তি করতে পারলাম না,কেন জানি বার বার থেমে যাই।সরি বোন)
No comments