বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে। কিন্তু কেন?
আমাদের সমাজে প্রতি বছর অনেক মানুষের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। আমাদের অনেক নিকট আত্মীয় স্বজনও এমন ভুল করে থাকে।বিশেষ করে প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্টের পর এসব খবর বেশী শোনা যায়।আজকে আমরা আত্মহত্যা কি?কেন করে? ও এর প্রতিকর সম্পর্কে জানবো।
আত্মহত্যা কি?
আত্মহত্যা বা Suicide হচ্ছে একজন নর কিংবা নারী কর্তৃক স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়া বিশেষ।বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর মতে প্রতি বছর সারা বিশ্বে যে সব কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটে তার মধ্যে আত্মহত্যা তেরো তম প্রধান কারণ। কিশোর-কিশোরী ও যাদের বয়স পঁয়ত্রিশ বছরের নিচে, তাদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।নারীর তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি।পুরুষের আত্মহত্যা করার প্রবণতা নারীদের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ।
প্রাচীন কালে যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া আত্মহত্যা করত তাহলে তাকে সাধারণ কবরস্থানের সম্মান দেয়াকে অস্বীকার করা হতো। তাকে কবরস্থ করা হতো শহরের বাইরে অবস্থিত কোন জায়গায়। শুধু তাই নয় তার জন্য কোন স্মৃতিফলক ও ব্যবহার করতে দেয়া হতনা । তবে কিছু সময় সামরিক পরাজয়ের মোকাবেলা করার জন্য এটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বলে মনে করা হতো।
মানুষ কেন আত্মহত্যা করে?
সাম্প্রতিক জীবনের চাপ,পরিবারের সদস্য বা বন্ধুকে হারানোর বেদনা , চাকরির ক্ষতি, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, একা বেঁচে থাকার কষ্ট,ব্যবসায় লস,এসব নিয়ে প্রচুর ডিপ্রেশনের কারনে আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এদের মাঝে যারা বিয়ে করেনি তারা আরও বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। এর প্রবণতা তরুণ মহিলাদের বেশি হয়।পৃথিবীতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশী একাকিত্ব বোধ করে।এটাই তাদের কাল হয়ে দাড়ায়।টিনেজারদের মাঝে প্রেম ঘটিত কারনে আত্মহত্যার প্রভাব বেশী দেখা যায়।
এর চিকিৎসা কি?
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে আত্মহত্যাকে মানসিক অসুস্থতাসংক্রান্ত বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে। উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে এ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। যখন একজন ব্যক্তি আত্মহত্যার বিষয়ে ব্যাপক চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন, তখনই তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যখন ব্যক্তি নিজেকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তা জানামাত্রই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে কাউকে জানানো। যে সকল ব্যক্তি দুঃশ্চিন্তায় পড়েন তারা আত্মহত্যায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দলের অন্তর্ভুক্ত।আর প্রচুর ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষগুলোর পাশে তার পরিবার,আত্মীয় বা বন্ধু বান্ধবরা যদি সঠিক সময়ে দাড়ায় তাহলেই তার আসল চিকিৎসা হয়ে যাবে।বেঁচে যাবে একটি প্রাণ।
প্রিয় পাঠক,আসুন আমরা আমাদের চোখ কান খোলা রাখি।আমাদের পাশের মানুষটা কেমন আছে তার খবর নেই।সুন্দর এই পৃথিবীতে সবাই বেঁচে থাকুক সবাইকে জড়িয়ে।প্রমময় হোক আমাদের জীবন।সুন্দর ও সবার জন্য হোক এই পৃথিবী।
(তথ্যঃউইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট)
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার লেখা কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ,বিজ্ঞান ও গবেষণা বিষয়ক লেখা।আমরা আপনার প্রতিভাকে সবার কাছে প্রকাশ করতে চাই। আমাদের ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/TalentBanglaMedia/?ref=bookmarks ও ওয়েবসাইটে লেখা পাঠাতে পারেন।সৃজনশীলতাই কাম্য।

No comments